বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেয’র মুখপাত্র স্টিফেন ডুযারিক এই তথ্য জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ বিষয়ে নিজের মতো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে বেআইনি হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজারও তরুন এবং বিরোধী রাজনীতিবিদদের গণ গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহাসচিব। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ তার উদ্বেগ ঢাকায় এবং নিউ ইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ সেনা পাঠানো দেশ হিসেবে আমরা আশা করি বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তা সমুন্নত রাখবে।
বাংলাদেশে কারফিউ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর জাতিসংঘের চিহ্ন সংযুক্ত যান ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, শান্তিরক্ষী পাঠানো কোনো দেশ এ ধরনের সরঞ্জাম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন অনুমোদিত কাজের বাইরে ব্যবহার করতে পারে না।
জাতিসংঘচিহ্নিত যানবাহন বাংলাদেশে আর মোতায়েন করা হচ্ছে না বলে সরকারি কর্তৃপক্ষ যে বিবৃতি দিয়েছে, তা আমরা আমলে নিয়েছি।