মনজুর আহমেদ, সাংবাদিক
বঙ্গবন্ধুকে তার স্বমহিমায় যথোপযুক্ত স্থানে অধিষ্ঠিত রাখার বিষয়টি বিবেচনার দাবী রাখে।
তিনি নিশ্চয় ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধে ছিলেন না। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তাজউদ্দিন আহমদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার নিজের হাতে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি যে রকমের স্বেচ্ছাচারী, দাম্ভিক এবং গণতন্ত্র ধ্বংসকারী একনায়কত্ববাদী হয়ে উঠেছিলেন তা তাকে স্থায়ীভাবে কালিমা লিপ্ত করে রেখেছ
কিন্তু স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত পাকিস্তান আমলে তার সংগ্রামী ভূমিকার কথা, তার ত্যাগের কথা তো অস্বীকার করা যাবে না। অস্বীকার করা যাবে না যে তার কারণেই বাংলাদেশ।
কিন্তু তার সম্পর্কে মানুষের মনকে বিষিয়ে দিয়েছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। নিজে ডুবেছেন, সম্মানীয় পিতাকে ডুবিয়েছেন। ‘হাভাতে’ বলে একটা কথা আছে। হাসিনা তার পিতাকে নিয়ে সেই ‘হাভাতেপনাই’ করেছেন। যেখানেই পেরেছেন, বাবার নাম বসিয়ে দিয়েছেন। এ
ত বাহুল্য, এত বাড়াবাড়ি তিনি তার বাবাকে নিয়ে করেছেন যা মানুষের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। এই মুহূর্তে একটা তালিকা আমার হাতে আছে। অসম্পূর্ণ এই তালিকায় দেখছি প্রায় তিরিশটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, কয়েকটা নভোথিয়েটার, টানেল, সেতু, নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান, এমনকি দুটি এলাকার নামও তার বাবার নামে। দেশ জুডে শুধু তার বাবা আর তার বিশাল বিশাল ছবি।
এ বাহুল্য বর্জন বান্ছনীয়। বর্জনীয় শেখ হাসিনার নিজের নামে এবং একই সঙ্গে তার পরিবারের প্রায় সবার নামে আরো অন্তত অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের নামকরণ।
যতটা বঙ্গবন্ধুর প্রাপ্য ততটা মর্যাদা দিয়েই তাকে যথাযথ স্থানে অধিষ্ঠিত রাখা ইতিহাসের স্বার্থে প্রয়োজন।