বাংলাদেশের ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে হাসপাতাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
২৮ জুলাই রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ।
তাদের সই করা লিখিত বার্তায় বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
এদিকে, এসব সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
ফেসবুক পোস্টে আইনজীবী মানজুর আল মতিন লিখেন, ডিবি হেফাজতে বন্দি ৬ সমন্বয়ক গত ৩২ ঘণ্টা ধরে অনশনে। আমি ভাবতাম তোরা নজরুল পড়িসনি! কত ভুল ভাবতাম রে! তোরাই তো একেকটা নজরুল! ৩৯ দিনের অনশনে নজরুল একাই ব্রিটিশ রাজের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন! তোরা তো অগুনতি নজরুল! কে ঠেকায় তোদের! ‘উহারা ক’জন, তোরা অগণন! সকল শক্তিধারী!
