রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের সহায়ক হিসেবে উঠে এসেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটেমের নাম। তবে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনা প্রত্যাখ্যান করে সংস্থাটি।
১৯ আগস্ট এক বার্তায় রোসাটম বলে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত উস্কানিমূলক খবর রোসাটম প্রত্যাখ্যান করে।
এতে আরও বলা হয় যে, রোসাটম তার সমস্ত প্রকল্পে কাজের চর্চা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়মিত নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। রোসাটম তার নিজের সুনাম ও স্বার্থ রক্ষার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতেও প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম শেখ হাসিনাকে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ দেয়। যেখানে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাতিজি টিউলিপ সিদ্দিক।
দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পর এটি দেশের বিদ্যুতের চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন এ বিষয়ে নিজস্ব গবেষণার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, রাশিয়ার সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। যাতে করে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম।
ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার হওয়া অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য।
২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সেসময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।
২০১৩ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় টিউলিপ সিদ্দিক শেখ হাসিনার সহচর ছিলেন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের মতে, সে সময়ে ঢাকা-মস্কো বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তিতেও তিনি মধ্যস্থতা করেন তিনি।
২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক মিলে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন। তাদের অ্যামেরিকাতে জুমানা ইনভেস্টমেন্টস নামে একটি কোম্পানিও রয়েছে।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের অভিযোগ, শেখ হাসিনা এই কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন। তাদের কোম্পানি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি প্রতারণা তহবিল কোম্পানির সাথে যুক্ত এবং প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা।
পোর্টালটি ২০১৮ সালে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে চালু করা হয়। তারা বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে।
previous post