নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ার পর থেকে ডেমোক্রেট ও ভোটারদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
আর প্রতিপক্ষকে ঘিরে এই উদ্দীপনা দমাতে উঠে পড়ে লেগেছে রিপাবলিকানরা। এইজন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম ও তার সহযোগী রিপাবলিকানরা যেন সবকিছু করতে প্রস্তুত।
হ্যারিস সম্ভাব্য ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর নিজের প্রথম নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় হ্যারিসের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন।
গর্ভপাতের বিষয়েও কথা বলে ট্রাম। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলার জন্য হ্যারিসকে দোষারোপ করে ট্রাম। এই তিনটি বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য মিথ্যা।
কিছু ডানপন্থী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নতুন ডেমোক্রেটিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। অন্যরা কোন প্রমাণ ছাড়াই হ্যারিসকে নিয়ে অভিযোগ করছেন, তিনি বর্ণবাদের ভিত্তিতে তার ক্যারিয়ার গড়েছেন।
অতীতে কিছু ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কে নিয়ে ট্রাম্পের দাবি প্রচার করেছেন। বর্তমানে তারা মিথ্যা দাবি করছেন যে হ্যারিসের অভিবাসী বাবা-মা অ্যামেরিকান নাগরিক নন।
তার পাশাপাশি তারা এও দাবি করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন অবৈধভাবে নিজের প্রার্থিতা পরিবর্তন করেছেন। ট্রাম্পের রানিং মেইটও এই দাবি করেন। একই দাবি করেছেন হাউয স্পিকার মাইক জনসনও।
তবে তাদের এই দাবিও মিথ্যা। দুটি স্টেট ছাড়া সব স্টেট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে সিএনএন। তারা সবাই জানিয়েছে নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে হ্যারিসকে ব্যালোটে রাখতে কোন বাধা নেই।
টেক্সাসে একজন রিপাবলিকান সেনেটর দাবি করেন হ্যারিস বন্দুক ব্যবহার, পেট্রোল চালিত গাড়ি এবং রেড মিট নিষিদ্ধ করতে চান। এছাড়া তিনি বার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি এবং ইহুদি বিরোধী।
তবে এসব দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সিএনএন এর সাংবাদিক টম ফরমেন। তিনি বলেন রিপাবলিকানরা যে যেভাবে পারছেন হ্যারিসকে আক্রমণ করছেন। তাদের বক্তব্য সত্য হোক কিংবা মিথ্যা।
অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এবং তার সহযোগীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার রানিং মেইট যে ডিফেন্সের এসব আক্রমণকে উদ্ভট বলে অভিহিত করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সাবেক অ্যাডভাইজার মার্ক ম্যাক কিনোন বলেন, হ্যারিসকে মোকাবেলায় সমস্যায় পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম।
রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন কামালা হ্যারিস সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন বলে দাবি করেন ম্যাক কিনোন।
previous post
next post