বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ তুলেছেন যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা যে গুলি চালিয়েছেন, তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কেন এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি এই সময় সরকারের প্রতি প্রশ্ন তোলেন, কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক দেশে ফিরে আসার পর, রিজভী তাকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে যান, সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন
তিনি বলেন, ‘যারা আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ফয়েজকে হত্যা করেছে তাদের আপনারা খুঁজে পাবেন না- এটা কেমন কথা? আপনারা যদি এদের আইনের আওতায় না আনেন তাহলে তারা আরও বড় ধরনের নাশকতা করবে।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে গিয়েছেন। ভারত তাদের পাসপোর্ট চেক করেনি, তাদের ভিসাও লাগেনি। অথচ বাংলাদেশের অন্য মানুষ ভারতে গেলে তাদের তো পাসপোর্ট-ভিসা লাগে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্যকে বাংলাদেশে দুই মাস গুম করে রাখার পর ভারতে ফেলে দিয়ে এসেছিল। সেখানে তার মামলা ফেস করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সে দেশে গণতন্ত্র আছে। তারা কী করে বাংলাদেশকে এভাবে এক চোখে দেখে? তারা জনগণকে অবজ্ঞা করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবজ্ঞা করে। তারা শুধু অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গাপূজার আজ দশমী, শেষ দিন। এত সুন্দর শান্তশিষ্টভাবে এবার পূজা পালিত হচ্ছে। কারণ সরকারের আন্তরিকতা ছিল এবং দেশের গণতন্ত্রমনা বিশেষ করে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো দিনরাত পাহারা দিয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের মিডিয়া নানান ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বাংলাদেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব শান্তিপূর্ণ দেশ। শুধু এ দেশকে কলঙ্কিত করেছেন শেখ হাসিনা।’