New York Bangla Life
বাংলাদেশবিশেষ প্রতিবেদন

সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ‘ফ্যাসিজমের’ অভিযোগ তুলছে শিক্ষার্থীরাই

একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে, ফেইসবুকে ঘোষণা দিচ্ছে। কমিটি একটি অংশও এসব অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়াচ্ছে।


সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনে নেমে ধীরে ধীরে সেটি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নিয়ে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এখন ভাঙনের সুর।

সরকার পতনের ডাক দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগকে বিরোধী দলগুলোর ভাষায় ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ’ এর কথা বলেছিল ছাত্র আন্দোলন। সরকার পতনের পর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বক্তব্যেই ‘ফ্যাসিবাদ’ দেখতে পেয়েছে সেই ছাত্ররাই।

একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছেন, একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিপক্ষেই আনছে নানা অভিযোগ। এমনকি সমন্বয়কদের মধ্যে ‘ফ্যাসিস্ট বয়ান’ দেখতে পারার কথা বলে এই আন্দোলন থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতারা।

ছাত্র আন্দোলনে পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটেছে, এমন কথা শুরু থেকেও বলাবলি হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেটি বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি। এর কারণ ছিল, ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে যারাই মাঠে নামুক, তাদের ওপর পুলিশের শক্তি প্রয়োগ ছিল মাত্রাতিরিক্ত বেশি। আর সেই সুযোগে সরকারবিরোধী পক্ষগুলো ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির আড়ালে মাঠে নেমে গেছে একজোটে।

সামাজিক মাধ্যমে এখন ছাত্রদল-শিবিরের নেতাকর্মীরা সে কথাই বলছেন। ছাত্রদলের এক নেতা দাবি করেছেন, আন্দোলনের ৪০ শতাংশ ছিল তাদের সংগঠনের নেতাকর্মী, শিবিরের ছিল ৩০ শতাংশ, ১০ শতাংশ ছিল কওমি মাদ্রাসার, তার মানে হেফাজতে ইসলামের ছাত্র শাখা।

এসব কথা এরা এখন তুলছে, কারণ হল সরকার পতনের পর থেকে সামনে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। দুই সমন্বয়ক যোগ দিয়েছেন সরকারে, বাকিরা সরকারকে রেখেছেন হুমকি ধমকির ওপর। পুলিশ ও আনসারের ওপর ৭.৬২ রাইফেলের গুলি করা হয়েছে, তারা কারা- এমন বক্তব্য দেওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনে সংঘাত নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হতেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনকে সরে যেতে হয়েছে। তাকে সরানোর দাবিও তোলে ছাত্র আন্দোলনই।

এই আন্দোলন গত ১৮ জুলাই থেকে সংঘাতে পরিণত হওয়ার মূল কারিগর কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ‘অন্য শক্তি’ মিশে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। তাদের সঙ্গেই শুরু হয় সংঘাত। কিন্তু এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাত্তা পাচ্ছেন না, কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক কয়েকজন সমন্বয়কই গুরুত্ব পাচ্ছেন। এসব ঘটনায় আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। তারই প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।

একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক কমিটিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি আর ভিডিও আসছে সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু কথিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর সংবাদ মাধ্যমে সব খবর আসছেও না। ফলে জানা যাচ্ছে না কতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে।

সংখ্যার বিবেচনায় তবে সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহ হয়েছে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি জোরাল বক্তব্য এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি থেকে সরে যাওয়া নেতাদের পক্ষ থেকে।

ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জোরজবরদস্তির অভিযোগ উঠছে খোদ সংগঠনের পক্ষ থেকেই। এমনকি দোকান থেকে দই নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বগুড়ায়। ঢাকায় হাসপাতালে টাকা তোলা হচ্ছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার খবর কাউকে বহন করতে হবে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণার ঘোষণা টানিয়ে দেওয়ার দুই দিনের মাথায় ছাত্র আন্দোলনের ১৮ জন সমন্বয়ক সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে এখন আছেন কেবল ৯ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক স্বর্ণা রিয়া এবং আলী আহম্মেদ আরাফ গত ১৪ আগস্ট ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। তিনদিন পর প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন মো. নূর নবী। পরে মাসুদ রানাও নামে আরেকজন একই কথা বলেন।
এরপর আর তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে একই দিনে যৌথ বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন ১৪ জন সমন্বয়ক। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইউনিটই ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন।


যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা লক্ষ্য করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর।”


সমন্বয়কদের মধ্যে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই ‘মব ট্রায়ালের মাধ্যমে’ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, “সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? সুযোগসন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।”


সমন্বয়ক নূর নবীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার কথা জানান এই ১৪ সমন্বয়কই। আরেক সমন্বয়ক মাসুদ রানার কর্মকাণ্ডে ‘রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা’ দেখার কথাও বলেন তারা।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অনেক সমন্বয়ক সুযোগের অপব্যবহার করছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
অন্যদিকে মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের ‘সমন্বয়ক’ পদটাকে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করছে একটা স্বার্থান্বেষী মহল। তারা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব করছে।”

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অতিমাত্রায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে বিবৃতির মাধ্যমে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সমন্বয়ক ইদানীং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। যার ফলে, ইতোমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বেরোবি অনেক সমালোচিত হয়েছে।“

কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার উচিত জবাব দেবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

অবাঞ্ছিত ঘোষণার ঘটনা ঘটেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী একযোগে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘোষণা দেন।

তাসনিম সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “তারা যেটি করার চেষ্টা করছেন, সেই কাজটিই এক ধরনের বৈষম্য। যা এই সম্পূর্ণ আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থি।’

সোহেল আহমেদ অয়ন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কার্যক্রমকে ব্যক্তিস্বার্থ, নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ স্বার্থান্বেষী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্যে ফ্যাসিজমের প্রভাব দেখতে পারার কথা জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন এক সমন্বয়ক ও ৫ সহসমন্বয়ক। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন আল মাসনূন।


তিনি বলেন, ” জবাবদিহিতাহীনতা ও ট্যাগা-ট্যাগির ফ্যাসিস্ট বয়ান আমাদের মনে স্বাভাবিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। আমরা মনে করি, সমন্বয়করা আমাদের সাথে সৎ নন।”


সমন্বয়কদের আচরণে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগও আনেন তিনি। বলেন, “কোনো মতামতকে যাচাই-বাছাই না করেই সমন্বয়করা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলেন। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি সমন্বয়ক কমিটিতেও।”

ছাত্র আন্দোলনে বিভেদ-বিভক্তির ছায়া দেখা গেছে সুনামগঞ্জেও। সেখানে শনিবার দুটি পক্ষ আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে।

একটি পক্ষের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাহাত হাসান পৌলমী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা খবর পাচ্ছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কেউ কেউ চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। শহরের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ চাঁদাবাজির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি পরিষ্কার করতেই আজ আমরা সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

“ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ চাঁদা চাইলে আমাদের বলবেন। আমরা ছাত্র জনতার এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে দেব না।”

এর মধ্যে বগুড়ায় থেকে ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে দই ও মিষ্টি নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সরকার পতন হওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই গত ১১ আগস্ট বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষ এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা দুই পক্ষই একে অপরকে ‘ভুয়া সমন্বয়ক’ বলে দাবি করেছে।

সেদিনেই শহরের একটি দোকান থেকে বিনা মূল্যে দই-মিষ্টি নেওয়া–সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এরপর দুপুরে ও বিকেলে দুই পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে।

বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বগুড়া আদালতের আইনজীবী ইজাজ আল ওয়াসী বলেন, “বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক পরিচয়ে নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলছে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা। কথিত এই সমন্বয়কেরা বগুড়ার এশিয়া সুইটমিটের মালিককে ফোন করে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে ৩০ সরা দই ও ১০ কেজি মিষ্টি নেন।”

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র আন্দোলনের আরেকটি অংশ। নিজেদের জেলা সমন্বয়ক দাবি করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্রফ্রন্ট জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিয়তি সরকার।

তিনিও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে নামধারী কতিপয় অসাধু চক্র বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।”


এই সংবাদ সম্মেলনেই ছিলেন বিনা মূল্যে দই-মিষ্টি নিয়ে আসা সাকিব খান। তিনি নিজেকে গাবতলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দাবি করে বলেন, “একটা ফাঁদে পড়ে ৩০ সরা দই ও ১০ কেজি মিষ্টি বিনা মূল্যে নিয়েছিলাম। গতকাল সেই টাকা পরিশোধ করেছি।।”

Related posts

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি: মাহফুজ আলম

Ny Bangla

বাবার লাশ আনতে মর্গে ৫ দিনের শিশু সন্তান

Ny Bangla

লাশ নিয়ে শাহবাগের দিকে আন্দোলনকারীরা

Ny Bangla

চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা

Ny Bangla

বাংলাদেশের কোনো হিন্দু ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেনি: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

Ny Bangla

শেখ হাসিনার পতন: নেপথ্যে চারজন

Ny Bangla

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy