আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল না হারানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা পাহাড় সমান কষ্ট নিয়েও হিমালয় সমান মনোবল নিয়ে অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে নানক বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার বাড়িঘর, শিল্পকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, খেতের শস্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোটি কোটি নেতাকর্মীর বাড়িঘর লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতাকর্মী ঘর ছাড়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিতভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।
নানক বলেন, মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখবেন।
বিবৃতির শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়, ১লা জুলাই থেকে এ পর্যন্ত যারা আমাদের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ীদের হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেফতারকৃতদের তালিকা তৈরি নিজের কাছে রাখুন এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এরপর থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন।
যদিও এই বিবৃতিগুলি অফিসিয়ালি না পাঠিয়ে একাধিক অনুসারীর মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়।
previous post
