ইতালি থেকে ১২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত নেওয়া হচ্ছে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিসরের নাগরিকরা আছেন। শনিবার তাঁরা ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগে আলবেনিয়ার আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হয়েছিল, যা একটি বিতর্কিত চুক্তির অধীনে হয়েছিল।
তবে আদালতের আদেশের পর এই চুক্তি বাতিল করা হয় এবং তাঁদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইতালির সরকার।
প্রায় এক বছর আগে ইতালি ও আলবেনিয়ার মধ্যে যে বিতর্কিত চুক্তিটি হয়েছিল, তা মূলত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পরিচালনা ও প্রসেসিং সংক্রান্ত। এই চুক্তির আওতায়, ইতালিতে আশ্রয়প্রত্যাশী পুরুষদের প্রথমে আলবেনিয়ার আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হয়। পরে ইতালির আদালতে তাঁদের অভিবাসনসংক্রান্ত বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আলবেনিয়ার আশ্রয়শিবিরে আটক থাকবেন তাঁরা।
ইতালি ও আলবেনিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো গত বুধবার ১৬ জন বাংলাদেশি ও মিসরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী আলবেনিয়ার শেংজিন বন্দরে পৌঁছান। তবে তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হওয়ায় তাঁদের দ্রুত ইতালিতে ফেরানো হয়। বাকি ১২ জন আজ শনিবার ইতালির কোস্টগার্ডের একটি নৌযানে করে রওনা দিয়েছেন। তাঁদের দক্ষিণ ইতালির ব্রিনদিসি শহরে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইতালি ও আলবেনিয়ার মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি বিতর্কিত চুক্তিটি গত বছরের নভেম্বরে স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ইতালিতে আসা পুরুষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রথমে আলবেনিয়ার আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হতো।
তবে, গতকাল শুক্রবার ইতালির বিচারকেরা চুক্তিটির বিরুদ্ধে একটি আদেশ জারি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় বিচার আদালত সম্প্রতি যে আদেশ দিয়েছেন, তার অর্থ হলো আলবেনিয়ায় পাঠানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অবশ্যই ইতালিতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এদিকে এই আদেশের বিরুদ্ধে ইতালির উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তিও পিয়ান্তেদোসি। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ‘ইতালির জনগণ আমাদের অবৈধ অভিবাসন রুখে দিতে বলেছেন। আর তাঁদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে আমি সবকিছু করব।’
previous post
next post