বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা মিছিল ও স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বয়সসীমা বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
৩০ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ সমাবেশ শুরু করেন তারা।
এসময় চাকরিপ্রত্যাশীরা ‘উই ওয়ান্ট নো এজ লিমিট’, ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ চাই’, ‘বয়সসীমা মুক্ত করি-স্বপ্ন গড়ি দেশ গড়ি’, ‘শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই’, ‘বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়তে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই’- ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে অংশ নেয়।
এ দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাগে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরতরা।
সমাবেশের আগে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অহিংস এ আন্দোলনে যোগ দিতে সবাইকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসার আহ্বানও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম শুভ নামের একজনকে আন্দোলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্তেরও ঘোষণা দেন।