সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি চান না। ট্রাম্প যেলেনস্কিকে বিশ্বের “সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি টিকিয়ে রাখতে যেলেনস্কিকে সহায়তা করছে।
ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জন ফেটারম্যান ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোয় স্পিকার মাইক জনসনের সমালোচনা করেছেন। ফেটারম্যান মনে করেন, ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ এবং তাদের প্রত্যাহারের দাবি অযৌক্তিক।
নর্থ ক্যারোলাইনার এক নির্বাচনী সমাবেশে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতির কারণেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চলছে। তিনি দাবি করেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি টিকিয়ে রাখতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেনস্কিকে সব ধরনের সহায়তা করছে। তিনি বলেন, যেলেনস্কি অ্যামেরিকায় এসে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পকেটে পুরে যুদ্ধ করতে চলে যান।
ট্রাম্প যেলেনস্কিকে বিশ্বের “সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী” হিসেবে উল্লেখ করে জানান, যেলেনস্কি যে পরিমাণ অস্ত্র এবং আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন, তা অন্য কোনো দেশ কল্পনাও করতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টকে একটেবিলে বসিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলবেন তিনি।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ওপর দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি না দিলেও ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তিনি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় নিশ্চিত করতে তাদের পাল্টা হামলার অনুমতি দেওয়া জরুরি।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেনস্কি পেনসিলভেনিয়ার একটি অস্ত্র কারখানা ঘুরে দেখেন। এ ঘটনার পর, আগামী নির্বাচনে ইউক্রেন প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন অভিযোগ তুলে স্পিকার মাইক জনসন দেশটির রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জন ফেটারম্যান জনসনের এ ধরনের অবস্থানকে সমর্থনযোগ্য নয় বলে সমালোচনা করেছেন, তিনি দাবি করেন যে এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অবিচার হতে পারে এবং এটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পেনসিলভেনিয়ার অস্ত্র কারখানার কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে যেলেনস্কি সেখানে গিয়েছেন এবং এ সময় তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে কিছুই বলেননি বলে জানান সেনেটর জন ফেটারম্যান।